My opinion about the movie “Hawa”

Hawa Review

বিশেষ দ্রষ্ঠব্যঃ আপনি যদি “হাওয়া” সিনেমা দেখতে চান তাহলে এই মন্তব্য পরার দরকার নাই। দেখে ফেললে আমার মন্তব্যের সাথে আপনার অনুভূতি মিলিয়ে নিতে পারেন বা শুধুই আমার মন্তব্য জানতে পারেন।

গোটা পৃথিবীতে মোটামুটি ৯/১০ রকমের সিনেমা বানানো হয়ে থাকে বা যে সব মুভি বা সিনেমা বানানো হয় তা এই সব রকমের মধ্যেই পরে। এখানে রকম বলতে আমি Genre বলছি। রকমগুলো এইভাবে লিস্ট করা যায়, বিস্তারিত এইখানে পাওয়া যাবে (ক্লিক করলে)।

  1. Action.
  2. Adventure.
  3. Comedy.
  4. Crime and mystery.
  5. Fantasy.
  6. Historical.
  7. Horror.
  8. Romance.
  9. Satire.
  10. Science fiction.
  11. Speculative.
  12. Thriller.
  13. Western

উপরের যে কোন ১টি বা একাধিকের সমন্বয়য়ে আমরা সিনেমা দেখতে পাই। কিন্তু, আমি “হাওয়া” দেখে কোন ক্যাটাগরিতে ফেলতে পারছি না। হয়ত -বা আমি বুঝতে পারি নাই।

এইবার বলি গল্প বলার (Story Telling) ধরন নিয়ে। Donald Miller নামে একজন লেখক তার বহুল আলোচিত বই (Building a Story Brand)গল্প বলার সাধারন ফ্রেম-ওয়ার্ক করার চেষ্টা করেছেন। সেটি এইরকম;

যতগুলো ভাল সিনেমা বা সিরিয়াল আমরা দেখি সেটাতে এই ফ্রেমে আমি বা আপনি খুব সহজেই ফেলতে পারবেন এবং সবকিছুই যেন চোখের সামনে আছে এইটা মনে হবে। “হাওয়া” সিনেমার প্রায় ২৫ মিনিট চলে যাওয়ার পরেও বুঝি নাই কে সেই প্রধান চরিত্র? কি বা তার সমস্যা? সে কি করতে চায়?

এইটুকু বোঝা গেল মাঝিরা মাছ ধরতে যাচ্ছে সমুদ্রে, সাথে মাছ চুরি’র ঘটনা আর চুরি করা মাছ এর ভাগাভাগি নিয়ে কিছু সমস্যা আছে। তারপর আসলো একমাত্র নারী চরিত্র, তার সমস্যা বুঝতে পারলাম সিনেমার শেষ ভাগে কিন্তু এর আগে প্রায় সব পরুষই যে …লু……… সেইটা বোঝানের চেষ্টা। আর ভিলেন যাকে বানানো হয়েছে তার অভিযোগ তার নিজের করা খুন সহ সবই কালা জাদু’র প্রভাব! এই অভিযোগ বা সমস্যা কোনটাই দেখলাম না শুধুই মুখের কথায় শুনে গেলাম।

এইবার ডায়লগ এ আসি; মাঝি মল্লার মানেই যে গালাগালি ও মেয়েদের অতিরিক্ত হেয় করা মানে … “মা… ী” বলে গালি দেওয়া এইটা একদম পছন্দ হয় নাই। মনে হইছে তারা যে খারাপ সেইটাই বুঝানের চেষ্টা। আর ত ছিল কিছু চুলকানি দেওয়া ডায়লগ। এত বেশি গালাগালি না থাকলে কি হত কে জানে!

অভিনয় এর কথা বলতে গেলে ২/১ জন ছাড়া সবাই ভালই করছে কিন্তু গল্পের জন্য সেটা ম্লান হয়ে গেছে।

“সাদা কালা” গানের সময় শুধু দেখলাম দর্শকরা কিছুটা উচ্ছ্বাসিত এছাড়া আর কোন খানেই সেটা দেখলাম না।

সিনেমা শেষ হলে আমার বন্ধু রাসেল বলছিল; বাংলাদেশ এ “বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না” যে হাইভ তৈরি করতে পারছিল তার ১০/২০ শতাংশও এরা করতে পারবে না। যা হচ্ছে শুধু ফেসবুক বা মিডিয়ার হাইভ এর জন্য।

আমরা সহধর্মিণী এই বলছে “এইটা কিছু হইল এর থেকে পারণ দেখলেই মনে হয় ভাল হত খালি সময় নষ্ট” । তার মন্তব্যে আমিই সব থেকে ব্যথিত করন এই সিনেমা দেখার জন্য সে অনেক আগে থেকে পরিকল্পনা করেছিল আর ভাল হবে এই আশা করেছিল।

আমরা আরেক বন্ধু রূম্পা, সে একজন ব্যাংকার তার ফেসবুক ওয়ালে কাকে যেন বলছে “এর থেকে সে নাকি ভাল সিনেমা’র গল্প বলতে পারবে!”। সেও কিন্তু এই সিনেমা দেখার জন্য অনেকটা পাগল ছিল।

পরিশেষ এ বলতেই হয় আমাদের দেশের সিনেমা আগের থেকে ভাল’র দিকে যাচ্ছে। এখনও যে যেতে হবে অনেক দূর। কারন পৃথিবী ত অনেক অনেক দূরে চলে গিয়েছে, আমাদের দর্শক আর আমাদের কন্টেন্ট বা সিনেমা দেখে না, প্রায় বেশিভাগই আমদানি নির্ভর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *