আহ! শৈশব … ছেলেবেলা … তারাই বুঝবে যারা এর সাথে সংযুক্ত ছিল

friends forever

লিখতে বসলেই শুধু মনে হয় আজ এই লেখা টা শেষ করতে পারব না। কিন্তু আজ শেষ করেই ঘুমাব।

পুরাতন হাসপাতাল লেন, মাস্টারপাড়া, ব্রাইট স্টার ক্লাব, বাবলা কাকুদের মাঠ, বুলু কাকুদের মাঠ, হসপিটাল মাঠ, ফারুক কাকুদের ভূতুরে পুকুর গুলো, জিকজাগ রোড, পানির ট্যাঙ্ক, Girls School  এর নারিকেল গাছ আর সিভিল সার্জন এর বিশাল বাড়ি এই তো ছিল আমাদের শৈশব আর ছেলেবেলা।

সকালে ঘুম থেকে উঠে বই নিয়ে কুস্তী আর অপেক্ষা কখন মা ডাক দেবে রান্না ঘরে খাওয়ার জন্য। তারপর ইশকুলের জন্য অপেক্ষা, কখন বাজবে ৯টা ৩০। আমরা প্রায় এক সাথেই স্কুল এ যাওয়া হত, ষষ্ট ও সপ্তপ শ্রেণীতে থেকেই। স্কুল এর ক্লাস শুরু হওয়ার ১ ঘণ্টা আগেই যাওয়া তারপর ক্রিকেট খেলা এস্যাম্বিলি শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত। শুরু হল মোথাহার স্যার এর গগন ফাটানো লিড … “সামনে নজর বুক টান … ডান বাম ডান … ” কিরে তুই আজ জুতা পরে আসিস নাই কেন ??? কিরে এটা কার প্যান্ট? …

টিফিন নিয়ে কাড়াকাড়ি, তারপর বাসায় টিফিন খেতে আসা আমি, জুয়েল, রুমন, জেমিন আর মিথুন ভাই, রওনক ভাই , মুরাদ ভাই  … ওই আবার Girls School এর সামনে দিয়ে আসা যাওয়া … সেই প্রথম আমাদের পাড়ার তিন কন্যার সাথে Girls School এর দোতালায় থেকে রাস্তায় আমাদের সাথে মুখ ভ্যংচানো।

বিকেলে কিছুক্ষণ খেলা তারপর আবার জিগজাগ রাস্তার এই মাথা থেকে ওই মাথা পর্যন্ত পায়েচারি … কারণ আমাদের পাড়ার কন্যারা দাঁড়িয়ে থাকত । প্রতিদিনেই কিছু না কিছু মুখ ভ্যংচানো… এই ভাবেই চলছিল।

একবার হরতালের জন্য ১ মাস না ২ মাস স্কুল বন্ধ। তখন হল খেলা শুরু। রাসেদ ভাই, ইভান ভাই, পামেল ভাই, রকছী ভাই, রওনক ভাই, মূড়াড ভাই, পুলূক ভাই, রাজীব ভাই, মিথুন ভাই, জনি ভাই আর আমরা নয় জন । লিমন জেমিন এর সে কি মজার ঝগড়া … অবশ্য আমার মনে হইত সব কিছুই ছিল রুমন আর জুয়েলের মজার প্লান।

ছোটদের দেখতাম আমাদের সবাইকে অনেক ভাল করে পর্যবেক্ষণ করতে। তার মাঝে ছিল দিশা আর নিলয় ভাল পর্যবেক্ষণকারী। এদের ও বস ছিল শশী।

স্বর্ণ ছিল এদের সবার থেকে আলাদা সব কিছুই দেখত আর বুঝে চুপ করে থাকত। আমি আর জুয়েল যেখানে গল্পের বই আর নিয়ে ব্যস্ত তথন সবাই হঠাত বড় হয়ে গেলাম। সবাই জানি কেমন হয়ে গেলাম।

কত না মজার স্মৃতি মনে আসছে আজ কিন্তু কিছুই লিখতে পারছি না ।। শুধু মনে হয় … বন্ধুকে আমি ভুল বুজেছি। সারা জীবন। মনে হলে আবার হয়ত এই লিখা আবার সংশোধন করব। বই পরি নাতো তাই এই অবস্তা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *