সমসাময়িক আমার কিছু পর্যবেক্ষণ (পুনরায় সংশোধন করা হবে)

how to code

তেমন কিছুই করি না যে আমি সব সময় অনেক ব্যস্ত। তারপরও কেন যেন সময় হয়ে উঠে না, কিছু বই পড়ার বা সৃজনশীল কিছু করার। কিছু দিন আগেও এটা বাহানা ছিল বই কিনতে যেতে হবে সেই নীলক্ষেত, তাই বই পড়া বন্ধ প্রায়। তা বললে কি হয় প্রযুক্তির যুগে আছি বলে কথা। আমাজন এর মত  ইন্টারনেট ভিত্তিক বাজার  যে আমাদের দেশেও শুরু হয়ে গেছে। বই তো এখন নীলক্ষেত থেকে নয়, বই এখন Boi24.com  বা Rokomari.com এই পাওয়া যায়। অতি উৎসাহে কয়েকটা বই কিনেইও ফেললাম।  আজ পড়ব কাল পড়ব করে সেগুল এখন বুক শেলফ এই শোভা পাচ্ছে। এই হচ্ছে আমার অবস্থা।

এবার মূল কথায় আসা যাক। ঈদ আর পূজার ছুটিতে এবার বাড়ীতে খুব বেশী দিন থাকতে পারি নাই। তবুও অল্প কিছুদিনেই আবাক করার মত বিষয় চোখে পড়ল। তালিকা অনেক বড় কিন্তু সবথেকে যেটা বেশী ভাবাচ্ছে আমাদের ছোটভাইদের কেই নিয়ে।  আমাদের শহরের অনেক ছেলেই  বিপথে বা মাদকাসক্ত হচ্ছে। আমারা তারুণের যেই সময় বল, বিদ্যালয়, খেলার মাঠ নিয়ে ছিলাম সেই সময় এই ছেলেরা এসবের ধার কাছে দিয়ে নাই। হয়ত অনেকেই বিদ্যালয় এ যাওয়া আসা করে কিন্তু ওই যাওয়া আসাটুকুই  এই ছোট শহরে আমারা অনেকটা প্রায় সবাই সবাই কে চিনি।

আমি কয়েকজনের সাথে কথা বলছিলাম কি অবস্তা তাদের বা তাদের বন্ধুদের। কিছু ভাল এবং আশার কথা ছাড়া সব গল্পই একই রকম। ৭ম বা ৮ম শ্রেণীতে প্রথম মোবাইল, ৯-১০ম শ্রেণীতে প্রেম করা বা ভালবাসার চেষ্টা। ১১-১২ এ প্রেম ভাঙ্গন অতপর “জয় গুরুঃ তোমার নামে করলাম শুরু।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে শুনলাম বড়রা তাদের স্বার্থ উদধার করতে ছোটদের ব্যবহার করছে।

কিন্তু আর যাই হোক আমারদের তো সবারই একটা বিবেক বা নৈতিকতা আছে এই সীমা আমাদের অতিক্রম কারা ঠিক নয়।  তার পরেও আমরা প্রতিনিয়ত করছি।

প্রযুক্তি মানুষের কল্যাণেও ব্যাবহার করা যায় আবার অকল্যাণেও। আমাদের কেই ঠিক করতে হবে কি করব আমরা।

সবকিছু মিলেই আমার মনে হয়, আমারা বড়রা মনে হয় ছোটদের ভাল কিছু দিতে পারছি না। ব্যাস্ত রাখতে পারছি না ভাল কাজে। আমাদের আর আর ও www.howtocode.com.bd এর মত প্রযুক্তির তার পরিচয় করিয়ে দিতে হবে। করতে হবে আরও আরও এ ধরনের পরিকল্পনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *